ডোমেইন ও হোস্টিং কী? ডোমেইন-হোস্টিংয়ের পার্থক্য!

ডোমেইন ও হোস্টিং কী? ডোমেইন-হোস্টিংয়ের পার্থক্য!

আপনি কি নতুন একটা ওয়েবসাইট বানানোর কথা ভাবছেন? কিংবা ব্লগিং শুরু করতে চাচ্ছেন? তাহলে নিশ্চয়ই ডোমেইন ও হোস্টিং, এই দুটি বিষয়ের কথা শুনে থাকবেন। কিন্তু এই ডোমেইন ও হোস্টিং কী? ডোমেইন এবং হোস্টিংয়ের মধ্যে পার্থক্য কী? এগুলা খায় না মাথায় দেয়, এসব কিছু হয়তো জানেন না! যদি না জেনে থাকেন, তাহলে ঠিক জায়গায় এসেছেন। টেকউইকির আজকের এই আর্টিকেলে আমরা— ডোমেইন ও হোস্টিং কী? ডোমেইন-হোস্টিংয়ের পার্থক্য; সবকিছু বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব। চলুন শুরু করা যাক!

ডোমেইন ও হোস্টিং কী?

ডোমেইন কী?

প্রথমেই ধারণা পরিষ্কার করি যে, ডোমেইন আসলে কী। যদি এক কথায় উত্তর দিতে হয় তাহলে বলব- ডোমেইন হলো যেকোনো ওয়েবসাইটের নাম। আরও ভালোভাবে বুঝাতে গেলে বলা যায়, প্রতিটি ওয়েবসাইটের একটা স্বতন্ত্র (ইউনিক) আইপি অ্যাড্রেস থাকে। ওয়েবসাইটের আইপি অ্যাড্রেসগুলো সাধারণত এমন হয়- 177.294.29.047।

কিন্তু এখন চিন্তা করুন তো, টেকউইকির মতো আপনার প্রিয় ওয়েবসাইটগুলোর এই আইপি অ্যাড্রেস মনে রাখা কতটা কঠিন কাজ! কিন্তু আপনি সহজেই আমাদের ওয়েবসাইটের ডোমেইন ঠিকানা মনে রাখতে পারেন। যেমন: techwiki24.com, google.com, facebook.com, biggannews.com, golpiyan.com ইত্যাদি মনে রাখা অধিক সহজ আইপি ঠিকানা মনে রাখার চেয়ে।

⏩ আরও পড়ুন: ব্লগার ওয়েবসাইটে ‘সোলায়মান লিপি’ বাংলা ফন্ট ইনস্টল করবেন যেভাবে!

মূলত এই কারণেই ওয়েবসাইটের ডোমেইন নাম আবিষ্কার হয়েছিল। ওয়েবসাইটের ঠিকানার মধ্যে দুটি অংশ থাকে, একটি ডোমেইন নাম আর অন্যটি এক্সটেনশন।  যেমন techwiki24.com এটা হলো আমাদের ওয়েবসাইটের ঠিকানা। আর এখানে techwiki24 হলো আমাদের ওয়েবসাইটের ডোমেইন নাম এবং .com হলো এক্সটেনশন। আশা করি সম্পূর্ণ বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

হোস্টিং কী?

এতক্ষণ আলোচনা করলাম ডোমেইন সম্পর্কে। এবার চলুন জেনে নিই, হোস্টিং কী? মনে করুন আপনি একটি ওয়েব সাইট বানাতে চাচ্ছেন। আর আপনি একটি ডোমেইন কিনলেন। তো ওয়েবসাইট বানানোও হলো এবং সেখানে আপনার কেনা ডোমেইন যুক্তও করে ফেললেন। এবার আপনি ওই সাইটে লেখা, ছবি, ভিডিয়ো ইত্যাদি যে ফাইলগুলো আপলোড করবেন, সেগুলো কোথায় জমা হবে বলুন তো? বুঝতে পারছেন না? তাহলে সম্পূর্ণ ব্যাপারটা পরিষ্কার করি চলুন।

হোস্টিং হলো এমন একটি কম্পিউটার স্টোরেজ যেটা ২৪ ঘণ্টা ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত থাকে এবং ওয়েবসাইটে আপলোড করা সকল ফাইল ওখানে সংরক্ষিত হয়। এটা হতে পারে আপনার পার্সোনাল কম্পিউটার বা বিভিন্ন হোস্টিং প্রোভাইডার কোম্পানির কাছ থেকে কেনা জায়গা (স্টোরেজ)। আপনি যদি আপনার কম্পিউটারটি ২৪ ঘন্টা ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত রাখতে পারেন তাহলে হোস্টিং হিসেবে আপনার কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারবেন। যেহেতু কোনো পার্সোনাল কম্পিউটারকে ২৪ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন ভাবে ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত রাখা সম্ভব হয় না, সেহেতু আমরা বিভিন্ন হোস্টিং প্রোভাইডার কোম্পানির কাছ থেকে হোস্টিং কিনে থাকি। তাদের বিশেষ কম্পিউটার থাকে যা ২৪ ঘণ্টা-ই ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত থাকে এবং বিশেষ ধরনের স্টোরেজ ব্যবস্থাও থাকে তাদের।

⏩ আরও পড়ুন: কীভাবে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখবেন?

ডোমেইন-হোস্টিংয়ের পার্থক্য!

আরও সহজ করে বুঝি!

ডোমেইন ও হোস্টিং কী, ডোমেইন এবং হোস্টিংয়ের মধ্যে পার্থক্য কী; এগুলো যদি এখনো বুঝতে না পারেন তাহলে চলুন আরেকটু সহজ করে বোঝার চেষ্টা করি। ধরুন, আপনার একটা বাড়ি আছে। বাড়িটির ঠিকানা হলো মিরপুর-১০, বাড়ি নম্বর-৩৮৮ এবং আপনার বাড়ি যে পরিমান জমির ওপর অবস্থিত তার পরিমাণ হলো ১ বিঘা, তাছাড়া বাড়িতে অনেকগুলো রুম ও আসবাবপত্র আছে।

এখানে আপনার বাড়িটি হলো একটি ওয়েবসাইটের মতো, বাড়ির ঠিকানা হলো আপনার ওয়েবসাইটের ডোমেইন নাম, বাড়ির বিভিন্ন রুম এবং আসবাবপত্র হলো ওয়েবসাইটের বিভিন্ন ফাইল (অডিয়ো, ভিডিয়ো, লেখা, ছবি ইত্যাদি), এবং এই বাড়ি, রুম, আসবাবপত্র যে জায়গায় রয়েছে সেটা হলো ১ বিঘা জমি যা ওয়েবসাইটের হোস্টিংয়ের মতো। এবার আশা করি পুরো ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছেন।

**********

প্রিয় পাঠক, এই ছিল— ডোমেইন ও হোস্টিং কী? ডোমেইন-হোস্টিংয়ের পার্থক্য; ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত। কারও কোনো প্রশ্ন থাকলে কিংবা কিছু না বুঝলে কমেন্ট করতে পারেন! পোস্টটি ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। এই ধরনের আরও আর্টিকেল পড়তে টেকউইকি২৪কে ফলো করুন। ধন্যবাদ।

⏩ আরও পড়ুন: আলাপ অ্যাপে কীভাবে রেজিস্ট্রেশন করবেন?

পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন:

মন্তব্য করুন: